প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ২০০৯ সালে বাংলাদেশে প্রবর্তিত একটি পাবলিক পরীক্ষা যার মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের (পঞ্চম শ্রেণির) শিক্ষার্থীদের অভিন্ন প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়। কেবল এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই পরবর্তীতে নিম্ন মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় প্রতিবছর এই পাবলিক পরীক্ষাটি আয়োজন করে থাকে। ২০০৯ সালে দেশব্যাপী প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৮৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ৩য় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা থেকেই পরীক্ষাটির ফল জি.পি.এ বা গ্রেডিং পদ্ধতিতে প্রকাশ করা শুরু হয় যা ইতিপূর্বে ডিভিশন পদ্ধতিতে প্রকাশ করা হত।
এবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাংলাদেশের মাদ্রাসা সমূহে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য একটি পাবলিক পরীক্ষা। এটি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সমমান বিশিষ্ট। ২০০৯ সাল থেকে এটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ন্যাপ(NAPE বা National Academy for Primary Education, Mymensing) কর্তৃক প্রণীত অভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে সমগ্র দেশে একইসময়ে এই পরীক্ষার আয়োজন করে থাকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়। উল্লেখ্য অন্যান্য স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জে.এস.সি, এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি) বাংলাদেশের শিক্ষাবোর্ডসমূহ কর্তৃক আয়োজিত হলেও কেবল প্রাথমিক ও সমমানের পরীক্ষাগুলো আয়োজন করে থাকে মন্ত্রনালয়। প্রায় প্রতিবছরই প্রশ্নকাঠামোতে পরিবর্তন আনা হলেও সাধারণত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও সমমানের পরীক্ষা ৬টি বিষয়ের উপর অনুষ্ঠিত হয় যার প্রতিটিতে সর্বমোট ১০০ নম্বর করে থাকে এবং পাস নম্বর থাকে ৩৩।